ভাইরাস আতঙ্ক বিশ্বজুড়ে।
করোনাভাইরাস থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। যাতে আমরা সুস্থ্ থাকতে পারি।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাগুলো দেখে অনেকেই ভীত-শংকিত হচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে, করোনায় মৃতের হার অত্যন্ত কম। প্রতি ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা যায় ১ জন বা তারো কম। যারা মারা যাচ্ছে তাদের বেশীরভাগই আগে থেকে স্বাস্থগত সমস্যায় ভোগা রোগী।
মৃত্যুর সত্যতাকে স্বীকার করে নিয়ে, মৃত্যুর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই সাথে যতটুকু সাবধানতা অবলম্বন করা স্বাভাবিক সেটুকু সাবধান থাকতে হবে। রোগের জন্য প্রয়োজনে চিকৎসাও নিতে হবে।
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মানুষ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ঘরে চিকিৎসা নিয়েই সেরে যান।
আসুন করোনাভাইরাস থেকে নিজের শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে করণীয় গুলোর দিকে নজর দেই। যাতে কভিডের সাথে মোকাবেলা সহজ হয়ে যায়।
(১)
যে শরীরের রোগের বসবাস আগে থেকেই আছে,
নতুন একটি ভাইরাস বা নতুন আরেকটি অসুখ সেই শরীরে, সহজেই তার জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়।
শরীর আভ্যন্তরীণভাবে সুস্থ থাকলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যথাযথ হলে অসুখ সহজে আমাদের শরীরে জায়গা করে নিতে পারে না।
তাই আমাদের উচিত সুস্থ থাকার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সেই সাথে মানসিকভাবেও সুস্থ থাকার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
নীচে লিংকে বিস্তারিত রয়েছে সুস্থ থাকার জন্য কি করতে হবে?।
(২)
প্যানিক বা আতঙ্ক হলো এই ভাইরাস পরিস্থিতির অন্যতম একটি বড় সমস্যা। তাই দেখা যায়, কেও বাড়িতে ঔষধের গোডাউন বানাতে উদ্যোগী। কেও অক্সিজেনের সিলিণ্ডার স্টক করতে তৎপর।
আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। এবং আতঙ্ক ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
(৩)
টেলিভিশন দেখা বন্ধ করুন। যদি বন্ধ করতে না পারেন তবে, টেলিভিশনে নেতিবাচক সংবাদগুলো বেশী বেশী দেখা থেকে বিরত থাকুন।
খারাপ খবরগুলো বারবার শোনা বন্ধ করুন।
প্রতিদিনের আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা, আমাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে।
ইতিবাচক কথা বলা এবং ইতিবাচক চিন্তা করার মধ্যে দিয়ে সময় কাটানো উচিত।
বই পড়ে, পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে, ইলেকট্রনিক ডিভাইসমুক্ত থেকে প্রতিদিনের একটা বড় সময় কাটানো ভালো।
(৪)
জীবনকে সঠিকভাবে উপভোগ করতে শিখুন।
আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্যগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
আমাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে।
আর এ সব কিছুই চালিয়ে যেতে হবে, সার্বক্ষণিক মৃত্যুর সত্যতাকে মাথায় রেখেই।
মৃত্যু একটি স্বাভাবিক বিষয়, নির্ধারিত সময়ে মৃত্যু হবেই। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে লাভ নেই। মৃত্যুকে আলিংগন করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকা দরকার। বরং যতক্ষণ বেঁচে আছি সুস্থভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা দরকার। আতঙ্কিত হলে সেটা শরীরে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অসুস্থতাকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
শরীরের সাথে আমাদের মনের সম্পর্ক খুব গভীর। তাই মন ভালো রাখুন, ইতিবাচক চিন্তা করুন। হাসি-খুশী থাকুন।
(৫)
সাবধানতা:
(৬)
বিশ্রাম:
বিশ্রাম নিন। শরীরকে আরোগ্য হতে সুযোগ দিন । পরিশ্রম করা চলবে না। তবে, সবসময় শুয়ে থাকাও ঠিক হবে না, মাঝে মাঝে উঠে পাইচারী করুন।
হালকা বেয়াম করতে পারলে ভালো।
(৭)
খাবার ও পানীয়:
(৮)
ভিটামিন:
পর্যাপ্ত ভিটামিন সি এবং ডি গ্রহণ করার ব্যপারে যত্নবান হোন।
ভিটামিন সি পেতে সাইট্রাস জাতীয় ফল খেতে পারেন।
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
(৯)
শুয়ে থাকা এবং ফুসফুসের ব্যায়াম:
সব সময় একই ভাবে শুয়ে না থেকে, সুবিধা মতো (বা আধা ঘন্টার পর পর) পাশ বদল করে বিভিন্নভাবে শোয়া ভালো।
এর মধ্যে, উপুড় হয়ে শুয়ে থাকার একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। যতক্ষণ ভালো লাগে, উপুড় হয়ে শুয়ে থাকুন। এসময়, পেটের নীচে বালিশ ইত্যাদি দিয়ে উঁচু করে রাখা যেতে পারে।
করোনাভাইরাস ফুসফুসের উপর আক্রমণ করে থাকে। আগে থেকেই আমাদের ফুসফুসকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে পারলে এই ভাইরাসের আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভাবনা বাড়ে। তার জন্য নীচের লিংকে দেখুন: ফুসফুসকে শক্তিশালী করতে ফুসফুসের ব্যায়াম।