সুস্থ থাকুন, শরীরকে শক্তিশালী রাখুন সব ধরণের রোগ-ব্যাধীর বিরুদ্ধে।
চলমান সময়ে আমরা আমাদের আশেপাশে প্রায় প্রতিটি পরিবারে দেখতে পাচ্ছি কেও না কেও অসুস্থ অবস্থায় প্রতিদিন ঔষধ সেবনের সাথে জীবন যাপন করছেন।
আর এটাকে আমরা স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নিচ্ছি।
অথচ সারাবিশ্বের এক শ্রেণীর সচেতন মানুষ, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তার মনে করছেন না যে এটা স্বাভাবিক, বরং তাঁরা
বলছেন যে, এতো বেশী অসুস্থতা মূলত হচ্ছে আমাদের অসচেতন ও অস্বাস্থ্যকর আচরণের কারণে। আর
এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পরামর্শও দিচ্ছেন তাঁরা।
আজীবন ঔষধ সেবনের মাধ্যমে অসুখকে লালন করে চলা ভালো কোনো সিদ্ধান্ত নয়।
নীচের এই ৭ টি বিষয়বস্তুর ব্যাপারে সচেতন থেকে আমাদের সুস্থতাকে অনেকটাই অর্জন করে ফেলতে পারি।
(১) অলসতা এবং এলোমেলো চলা বন্ধ করা।
- রুটিন মতো দৈনন্দিন কাজ-কর্ম করা।
- পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।
- প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়ার অভ্যাস করা।
- রাতের খাবার ঘুমাতে যাবার ৩ ঘন্টা আগে শেষ করা। এর পর পানি ছাড়া কোনো প্রকার খাবার গ্রহণ না করা।
- প্রায় সময় পায়খানা ও প্রস্রাবের চাপ দীর্ঘক্ষণ চেপে না রাখা।
(২) সঠিক সময়ে ও পর্যাপ্ত ঘুমানো।
এশা'র পর পর ঘুমিয়ে পড়া এবং পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানো।
(৩) খাদ্য:
প্রাকৃতিক ও ভালো মানের খাদ্য গ্রহণ করা।
- অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো বর্জন করা। যেমন:
বেশী তেলের খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, রেস্টুরেন্টের খাবার, রান্না-বান্নায় রিফাইনড অয়েল এর ব্যবহার।
- ঘন ঘন গোস্ত না খাওয়া।
- সালাদ ইত্যাদির সাথে কাঁচা এক্ট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, মধু, আদা, গোলমরিচ - এগুলো কিছু কিছু গ্রহণ করা ভালো।
- প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বেশ খানিকটা (রান্না করা নয় এমন) কাঁচা খাবার যুক্ত করা। যেমন:
শব্জি (শশা, গাজর ইত্যাদি), পাতা জাতীয় (লেটুস ইত্যািদি), বাদাম ইত্যাদি।
(৪) পর্যাপ্ত পানি পান করা। কমও নয়, আবার অতিরিক্তও নয়।
(৫) মানসিক স্বাস্থের যত্ন নেয়া। মনকে শান্ত রাখা বা মানসিক অস্থিরতা থেকে দূরে থাকা। এজন্য:
- ইতিবাচক চিন্তায় অভ্যস্ত হওয়া।
- ইতিবাচক কথা বলা অভ্যাস করা।
- যতক্ষণ বেঁচে আছি ততক্ষণ সময়টুকু সুন্দরভাবে কাটাতে হবে এটা মাথায় রাখা। আত্মকেন্দ্রীকতা আর নয়। আর সুন্দরভাবে বাঁচার অর্থ হলো সবাইকে নিয়ে বাঁচা।
কেবলমাত্র নিজে নয়, কেবলমাত্র পরিবার নয়, প্রতিবেশী-সমাজ সহ পৃথিবীর সবাইকে নিয়ে বাঁচা।
- প্রতিদিনের রুটিনে ইলেকট্রনিক ডিভাইসমুক্ত সময় নির্ধারণ করা।
- পরিবারের সাথে সময় কাটানো।
- কুরআন তিলাওয়াত করা। কুরআন তিলাওয়াত শোনা। অর্থ বোঝা।
- আলহামদুলিল্লাহ্ বলার অভ্যাস করা। খাবারের শেষে, পানি পানের শেষে। এছাড়াও
আল্লাহ্র যত নেয়ামত আমরা ভোগ করছি সেগুলো স্মরণ করে, আলহামদুলিল্লাহ্ বলার অভ্যাস করা।
- ধৈর্য ধারণ করার অভ্যাস করা।
- ক্ষমা করার অভ্যাস করা।
- নিয়মিত সলাত আদায় করা।
- নিয়মিত ইসলামী বক্তব্য শোনা।
-
ইসলামী বই পড়া।
(৬) প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম করা। দৈনন্দিন রুটিনে শারীরিক পরিশ্রমের কোনো কাজ না থাকলে:
- প্রতিদিন কমপক্ষে আধা ঘন্টা বা ১ ঘন্টা হাঁটা।
- কিংবা কিছু হালকা ব্যায়াম করা।
(৭) প্রতিদিন খোলা যায়গায় (কমপক্ষে বাড়ির ছাদে) কিছু সময় কাটানোর চেষ্টা করা। বুক ভরে তাজা শ্বাস নেয়া। আর সূর্যের আলো গায়ে লাগানো।