প্রথমে একটু দেখি, বিনোদনের চাহিদা সম্পর্কে:
চিত্র ১
মানুষ বিনোদন কেন খোঁজে? সে মানুষই বিনোদনের ব্যাপারে বেশী আগ্রহী, যে তার ব্যক্তিগত জীবনে বেশী অসন্তুষ্ট। "ভালো লাগছে না, অসহ্য লাগছে। দম আটকে আসছে। একঘেঁয়ে জীবন। ভালো লাগার জন্য আলাদা কিছু চাই" - এই চাওয়াই হলো বিনোদনের জন্য প্রত্যাশা। অর্থাৎ ব্যক্তিজীবনে যে যত মন থেকে হাসতে পারে না, যে যত অসন্তুষ্ট, সে তত বিনোদনের খোঁজ করে। অনেক মানুষের সাথে চলাফেরা করে অথচ নি:সংগতা অনুভব করে। নিজের মনের অস্থিরতা দূর করার জন্য "বিনোদন" নামক উপকরণটির উপর নির্ভর করতে চায়। বিনোদন তার অস্থিরতা সাময়িকভাবে কমায় মাত্র, তাই বিনোদনের রেশ কাটতেই আবারো অস্থির হয়ে উঠে, খোঁজ করে আরো আরো বিনোদন, নতুন কোনো বিনোদন। বিনোদনের খোঁজে অনেকে ধীরে ধীরে অবৈধ উপকরণ, বিকৃত উপকরণের প্রতিও আশক্ত বা আগ্রহী হতে থাকে।
চিত্র ২
অন্যদিকে, যে ব্যক্তি নিজের দৈনন্দিন জীবনে সুখী। যে ব্যাক্তি তার দৈনন্দিন জীবনকে উপভোগ করতে পারে, তার জন্য বিনোদনের প্রয়জনীয়তা কম। যখন কেও ইসলামের আলোকে জীবন যাপন করে তখন তার জীবনে লোভ, প্রতিহিংসা থাকে না। চাওয়া-পাওয়ার ব্যবধান কম থাকে। সে সারাক্ষণ অসাধু প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকে না। অভিনয় করে সবসময় মিথ্যা হাসি ঠোটে লাগিয়ে রাখতে হয় না। দম আটকে আসে না। তাই ক্ষণে ক্ষণে বিনোদনের জন্য তীব্র আকাংখাও জাগে না। সে ইসলাম পালনের মাধ্যমে সয়ংক্রিয়ভাবে হালাল বিনোদনের মধ্যেই থাকে।তাই, ইসলামী জীবন যাপন আমাদের হারাম, নিত্যনতুন ও মাত্রাতিরিক্ত বিনোদনের চাহিদাকে কমিয়ে দিতে পারে।
ইসলাম অনুমোদিত বিনোদন:
যে বিনোদন আল-কুরআন ও সুন্নাহ্র বিপরীতে যায় না সেগুলোই হালাল বিনোদন ধরে নেয়া যায়।
অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে যেন: