ইবাদত করা যেমন আমাদের একটা দায়িত্ব, পরিবারের যত্ন নেওয়াও আমাদের দায়িত্ব, নিজে অসুস্থ হলে পরিবারের দায়িত্ব পালন করবো কিভাবে, ইবাদতই বা করবো কিভাবে?
হযরত ইবরাহীম আ. যখন তার শিশুপুত্রকে রেখে চলে যাচ্ছিলেন তখন তিনি দোয়া করেন, আল্লাহ্ যেন তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে, যাতে তারা ইবাদত করতে পারে। এখানে ইবাদতের সাথে খাদ্য তথা স্বাস্থ্যের বিষয়টিও ফুটে ওঠে। স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে আমরা ভালোভাবে ইবাদত করতে পারবো না।
এছাড়া আমরা হয়ে উঠতে পারি পরিবারের কাছে একটি বোঝা। রোগের কারণে অতিরিক্ত কিছু কাজ তৈরী হতে পারে, নিজের জন্য এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও জন্যও অতিরিক্ত কাজ তৈরী হতে পারে।
যদিও কিছু অসুস্থতা আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আসতে পারে। কিন্তু আজকের দিনে এত বেশী অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসে আমরা জড়িত যে, এটা বললে বোধ হয় ভুল হবে না যে, আমরা রোগ লালন পালন করছি।
আমাদের শরীর আমাদের কাছে আল্লাহ্র একটি আমানত। আমরা যদি স্বাস্থ্যের যত্ন না করি তাহলে আমরা স্বাস্থ্য নামের আমানটির যত্ন নিলাম না বা খেয়ানত করলাম এমনটা আল্লাহ্ তায়ালা দাবী করতে পারেন।
একজন মানুষের প্রতি যেমন তার সন্তানের হক বা অধিকার আছে। তেমনি অধিকার আছে তার মাতা-পিতার,এবং পরিবারের সকল সদস্যের। অধিকার আছে তার অধিনস্তদের। অধিকার আছে প্রতিবেশীর। অধিকার আছে ইসলামের। তেমনি অধিকার আছে তার শরীরের, তার মনের, প্রতিটি অংগ-প্রত্যঙ্গের।
আমরা শরীরের যত্ন নিলে সেটা যেমন নিজের ভবিষ্যত দিনগুলোর সুস্থভাবে কাটানোর ক্ষেত্রে কার্যকর হবে, তেমনি আমরা আমাদের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারবো আবার আল্লাহ্র দেয়া দায়িত্বগুলোও পালন করতে পারবো আর শরীর নামক আমানতটিরও যত্ন নেয়া হবে। কিভাবে আমরা আমাদের শরীরের যত্ন নিতে পারি?