এসো! লকডাউনকে কাজে লাগাই

আগে তো ব্যাস্ততা ছিলো, সময় ছিলোনা। এখন? এখন তো সময়ই সময়।
বাড়িতে বসে বসে বিরক্ত। কেন না আমরা সময়টাকে একটু কাজে লাগাই? ভালো কাজে।

মহামারীতে করণীয় কি?

অনেকরই প্রশ্ন এটা। অনেকেই উদাসীনভাবে সময়টাকে অপচয় করছি। এসো দেখি কিভাবে সময়টাকে কাজে লাগানো যায়।

নিজের শরীরের হক আদায়:

এতদিন নিজের শরীরের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা করছ। এখন বিশ্রাম দাও। বিশ্রাম মানে অলসতা নয়, এই নয় যে সব সময় শুয়ে শুয়ে থাকবে। বরং সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাবে, সঠিক সময়ে উঠবে। প্রতিদিনির কাজের রুটিন তৈরী কর। নিজেকে ব্যাস্ত রাখ সঠিক কাজে। অযথা সময় নষ্ট করা নয়, অলসতায় সময় পার করা নয়।

ক্ষমা:

একদিকে খুব সহজ, আর একদিকে খুব কঠিন।

সহজ এজন্য যে, না তো শারিরীক কষ্ট করতে হবে, না তো পয়সা খরচ করতে হবে। একটু সময় দিতে হবে। ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে হবে।

যে ব্যাক্তির উপর তুমি বিরক্ত। তাদের কথা একটু চিন্তা করো, আর এক একজনকে ক্ষমা করে দাও। ব্যাস।

কিন্তু কঠিন এজন্য যে, নিজের নফসের নিষেধের সাথে লড়াই করা লাগবে।

সে তো আমার ক্ষতি করেছিলো, আমি এমনিতেই ক্ষমা করে দেবো? কঠিন মনে হচ্ছে, না?

হ্যাঁ এমনিতেই ক্ষমা করে দাও। ক্ষমা কেন করা উচিৎ সেটি আলাদা একটি আলোচনার বিষয়। সংক্ষেপে লাভ এটা হবে যে, ক্ষমা করার জন্য মনটাকে নরম করা লাগবে। মনটা নরম হবে। আর ক্ষমার বিনিময়ে লাভ আশা করা যাবে আল্লাহ্‌র কাছ থেকে।

খাবারে সংযম:

এখন খাবারের সংকট আছে কিছুটা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা খাবারের ব্যাপারে সংযমের অনুশীলন করতে পারি। ইফতারী জাঁক-জমক করার চেষ্টা না করে সুন্নতি পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার চেষ্টা করতে পারি।

অন্যকে সাহায্য করুন:

অন্যকে সাহায্য করুন। সশরীরে বাইরে যাওয়া ছাড়াই যেটুকু করা যায়।

সব ধরণের পরিচিতি দের খোঁজ নেয়া। পরিবারের সবাই সুস্থ্য আছে কি-না খোঁজ নেয়া। বাড়িতে তাদের খাদ্য আছে কিনা,

দান করা:

সামর্থ অনুযায়ী দান করা।

বাড়ীর কাজ করা:

বসে থাকার অলসতা দূর করা, আবার পরিবারের সাথে সময় কাটানো দুটোই হতে পারে বাড়ীর কাজ করার মধ্য দিয়ে।

নফল নামাজ পড়া:

তাহাজ্জুদ ও চাশত নামাজ পড়া যায়। এছাড়া, নিষিদ্ধ সময়গুলো বাদ দিয়ে, যে কোনো সময়ে দুই রাকায়াত দুই রাকায়াত করে যত ইচ্ছা নামাজ পড়া যায়। কিছু নফল নামাজ রাখতে পারি প্রতিদিনের রুটিনে।

কুরআন পড়া:

কুরআন পড়ার কথা শুনলেই যেটা মাথায় আসে সেটা হল তেলাওয়াত করা। কিন্তু তেলাওয়াত করা ছাড়াও কুরআন পড়ার আরো কিছু অংশ রয়েছে। (নিয়ম করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ব্যায় করুন এগুলোর পেছনে)

হাদীস পড়া

প্রতিদিন একটা করে হলেও হাদীস পড়া। বই থেকে হোক, নাহলে অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ইসলামী বই পড়া

ইসলামের বিধি-বিধানগুলো নিয়ে জানার প্রয়োজন অনেক। প্রতিদিন কোনো ইসলামী বই থেকে পড়া যায়।

শরীর চর্চা করা

ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাওয়া যায়। দেখে দেখে হালকা শরীরচর্চা করা যেতে পারে প্রতিদিন।

এসো! অলসভাবে সময় নষ্ট না করি। সময়টাকে কাজে লাগাই।